অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন। সে বিষয় নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি জানতে ইচ্ছুক থাকেন যে এফেরিয়ার মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন তাহলে আজ আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন।

পেজ সূচিপত্রঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন

ভূমিকাঃ

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং খুব লাভজনক। তাই আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে মোটামুটি একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনি এফিলির মার্কেটিং করতে পারেন। সেটা আবার ঘরে বসে তাহলে বুঝতে পারছেন পরিবারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এ কাজে সময় দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান । তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে জানা প্রয়োজন। তবে কেউ যদি মার্কেটিং সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে ভালোভাবে না জানে। তাহলে সে সফলতা অর্জন করতে পারবে না।অ্যাভিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য শুরুতেই একটি সঠিক অনুমোদিত মার্কেটপ্লেস আপনাকে বেছে নিতে হবে। যেটা মূল্যবোধের সাথে বাজারে খ্যাতি আছে এমন মার্কেটপ্লেস আপনাকে সন্ধান করতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যেগুলো পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো আপনাকে সুন্দর ভাবে জেনে নিতে হবে। এবং এফিলিয়ার মার্কেটিং সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এফিলের মার্কেটিং করার জন্য যে বিষয়গুলো অবশ্যই জানা প্রয়োজন আজ আমি আপনাদের মাঝে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরবো । তাহলে বুঝতেই পারছেন যদি আপনি আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণটি পরেন। তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য জানতে পারবেন।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করাঃ কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে কেননা এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভালোভাবে কিওয়ার্ড যদি আপনি রিচার্জ না করেন তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনি সফল হবেন না তাই সফলতা অর্জন করতে চাইলে বেশি বেশি কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
  • অ্যাফিলিয়েট সাইট নির্বাচনঃ যদি আপনি ওয়েবসাইট দিয়ে আসিলিয়ার মার্কেটিং করতে চান তাহলে সেটি আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। এবং সেগুলোর মধ্যে আপনি কিছু কিছু ওয়েবসাইট নিয়ে মার্কেটিং করতে পারবেন।
  • নিস সিলেক্ট করুনঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সব থেকে বেশি প্রয়োজন সঠিক নিস সিলেক্ট করা। যদি আপনি সঠিক নিস সিলেক্ট করতে ব্যর্থ হন তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হওয়া সম্ভব না। এজন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং করার পূর্বে সঠিক নিস সিলেক্ট করা আপনার জন্য অবশ্যই জরুরী।
  • ইউজফুল কনটেন্ট তৈরি করাঃ যেগুলো কন্টেন্ট খুব প্রয়োজনীয় সেগুলো কন্টেন্ট প্রফেশনাল ভাবে তৈরি করা। কেননা এগুলো কন্টেন্ট সবাই পছন্দ করে তাই এগুলো কন্টেন্ট তৈরি করে এখানে এফিরিয়ড লিংক দিয়ে দেওয়া
  • প্রোডাক্ট সিলেক্ট করাঃ ভালোভাবে এফিলিয়ার মার্কেটিং করতে সবচেয়ে জরুরি হল প্রোডাক্ট সিলেক্ট করা এবং এজন্য যে আপনি যদি সঠিক প্রোডাক্ট সিলেক্ট না করেন তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য কঠিন হবে।
  • প্ল্যাটফর্ম তৈরি করাঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাইলে আপনাকে যেকোনো একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে নিতে হবে। প্ল্যাটফর্ম গুলো হতে পারে ইউটিউব ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ব্লগিং এগুলোর মধ্যে কোন একটি প্ল্যাটফর্ম আপনাকে দাঁড় করাতে হবে আপনি যেন ওই প্লাটফর্মে এফিলিয়েট লিংক দিতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবো

অ্যাফিলিয়ার মার্কেটিং বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় বর্তমানে যারা বেকার, পেশাজীবী, ছাত্র-ছাত্রী ভাই-বোনেরা ঘরে বসে এফিলিয়েট মার্কেটিং করছে। তবে কেউ যদি মনে করে আমি এফিলিয়ার মার্কেটিং এ সময় দিয়ে পুরো সময় মার্কেটিং করব তাহলে সে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যেগুলো মাধ্যম রয়েছে। সেগুলো আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে। এখন আপনি যদি এফিলিয়ান মার্কেটিং করার সিদ্ধান্ত নেন। আমার এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই চলুন শুরু করা যাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি কি উপায়ে করা যায় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছি।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লয়েন্সারঃ যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার অনেক ফ্যান ফলোয়ার থাকে তাহলে সেখানে ইনফ্লুয়েঞ্জার মনে করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যাবে। এফিলিয়েট প্রোডাক্ট সম্পর্কে কোন বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে সেই প্রোডাক্ট ক্রেতারা ক্রয় করে। এবং সেই প্রোডাক্ট ক্রয় করলে ওখান থেকে কমিশন পাওয়া যায়।
  • ইমেইল মার্কেটিংঃ অনেকেই বলে থাকে মার্কেটিং করার জন্য ইমেইল মার্কেটিং অনেক কার্যকর তাই আপনি চাইলে ইমেইলের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারেন
  • ইউটিউবঃ আপনি যদি নিজে একটি ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করেন এবং সেখানে যদি আপনার অনেক সাবস্ক্রাইবার হয় তাহলে আপনি আপনার ওই ইউটিউব চ্যানেলটি দিয়ে এফিডিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন এজন্য আপনাকে নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট ক্রেতাদের কাছে প্রমোট করাতে হবে।
  • এডভারটাইজিংঃ ইউটিউব, ফেসবু্‌ক, এবং সার্চ ইঞ্জিনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় তবে শর্ত হলো অ্যাডভাটাইজিং দিয়ে করতে হবে তবে যদি আপনি এটি দিয়ে মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনার কিছু টাকা খরচ হয়ে যাবে।
  • ব্লাগিংঃ Blocking দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং খুব সহজেই করা যায় তবে শর্ত হলো ব্লগের কন্টেন্টে অ্যাপ্লিয়েট এর লিংক দিয়ে দিতে হবে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটিং হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং তার মধ্যে আমরা সব থেকে প্রথম তালিকায় রাখতে পারি ফেসবুক যা দিয়ে বর্তমানে অনেক ট্রফিক পাওয়া যায় বর্তমানে ফেসবুকে রয়েছে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী এবং বর্তমানের সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্লাটফর্ম তাই বর্তমানে ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর রিভিউ দেখি অ্যাডভার্টাইজ ও এফিলিয়েট link ও পাওয়া যায় এছাড়াও আরো বিভিন্ন মাধ্যমে লিংক পেয়ে থাকি তাই খুব সহজে এখান থেকে আপনি চাইলে আয় করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার কয়েকটি উপায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন বিষয়ে জানা জরুরী ইতিমধ্যেই আপনারা তা জানতে পেরেছেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য অনেকগুলো উপায় রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি উপায় আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি। নিচে তা আলোচনা করা হলো আশা করছি আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
  • পিপিএল সিস্টেমঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অন্যতম একটি মাধ্যম হলো পিপিএল " পে পার লিড " এর মানে হলো আপনি যে প্রচার প্রচারণা করবেন এই প্রসার প্রসারের মাধ্যমে যতগুলো লিড আসবে ততগুলো লিড থেকে আপনি কমিশন পাবেন। তবে ক্লিকের জন্য কোন টাকা পাবেন না।
  • প্রোডাক্ট রিভিউঃ প্রোডাক্ট এর রিভিউ এবং ভিডিও দেখার মাধ্যমে যদি কেউ পণ্য ক্রয় করে তাহলে সেখান থেকে আপনি কমিশন পাবেন তবে হ্যাঁ অবশ্যই ওই প্রোডাক্ট যেন আপনার নিজের লিংক এর মাধ্যমে ক্রয় করে। অবশ্যই আপনাকে এটা মাথায় রাখতে হবে।
  • পিপিএস সিস্টেমঃ আমরা ইতিমধ্যেই জেনেই গেছি যে এপ্রিলের মার্কেটিং করার জন্য অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি মাধ্যম হলো পিপিএস সিস্টেম পিপিএস মানে হল। "পে পার সেল " অর্থাৎ আপনি যেগুলো বর্ণ বিক্রি করবেন প্রত্যেকটি পণ্যের কমিশন পাবেন
  • রিকুটিং কমিশনঃ বর্তমানে অনেক কোম্পানি রয়েছে যে বা যাহারা এফিলিয়েট মার্কেটের নিয়ে তাদের পণ্য ক্রয় করার ব্যাপারে রিকুটিং করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যারা এই ধরনের কাজ করে তারাও কমিশন পায়।
  • পিপিসি সিস্টেমঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আরেকটি হলো পিপিসি। পিপি সি এর অর্থ হলো " পে পার ক্লিক " তাহলে বুঝতে পারছেন আপনার নিজের রেফারেল এ যতজন মানুষ ক্লিক করবে সেখান থেকে আপনি কমিশন পাবেন।

লেখক এর মন্তব্যঃ

এফিলের মার্কেটিং করার জন্য যে সমস্ত বিষয় নিয়ে জানা প্রয়োজন আপনি তা জানতে পেরেছেন তবে হ্যাঁ আপনি যদি শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে নিশ্চয়ই এফিলেট মার্কেটিং করার জন্য যে সমস্ত বিষয় জানা প্রয়োজন সে সমস্ত বিষয় নিয়ে আপনি জানতে পেরেছেন আমি আশা করছি আমার এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। আর যদি আপনার ভালো লেগেই থাকে তাহলে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url