খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

সম্মানিত পাঠক খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার  উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজ আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন। খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগণ সম্পর্কে তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক। 

খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে কতটা উপকার হয় তা জানলে আপনি অবাক হবেন। যা খেলে আমরা আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। এবং এটি আমাদের শরীরে কি কি উপকার করে। নিচে এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি

পেজ সূচিপত্রঃ খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ 

ভূমিকা 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, তুলসী পাতা কে আমরা অভিযোজনীয় ভেষজ হিসেবে বিবেচনা করি। যা শরীরের চাপের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে। এবং শিথিলতার অনুভূতি প্রচার করতে সহায়তা করতে করে। যদি কেউ নিয়মিত তুলসীর পানি পান করে। তাহলে সে সর্ব অবস্থায় সুস্থ থাকতে পারবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন তুলসির কারমিনেটিভ বৈশিষ্ট্য যা হজম করতে সাহায্য করে। এবং পেট ফোলা ভাব কমাতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের কাছে আরো জানা যায়, প্রতিদিন সুস্থ থাকতে হলে কয়েকটি করে তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়া জরুরী। তাই আমরা আমাদের বাসার বারান্দা, কিংবা যে স্থান দিয়ে আলো বাতাস চলাচল করে সেখানে তুলসী গাছ  লাগিয়ে রাখতে পারি। এবং এজন্য লাগিয়ে রাখবো, তুলসী পাতা আমাদের অনেক উপকার করে যেমন সর্দি,কাশি, জ্বর, আরো অন্যান্য বিষয়ে, তাহলে চলুন নিচে আমরা এ বিষয় নিয়ে আরো অনেক কিছু জানি। 

খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা 

খালি পেটে তুলসী খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আমরা এখন বিস্তারিত জানবো। আমাদের গ্রাম অঞ্চলগুলোতে অনেকেই অনেক ধরনের কথা বলে থাকে যে খালি পেটে তুলসী পাতা কিংবা তুলসী পাতা রস খাওয়া যাবে কি যাবে না। হ্যাঁ অবশ্যই খাওয়া যাবে। যা আমাদের মায়েরা বিভিন্ন সময়ে তাদের শিশুদের সর্দি কাশি হলে রস বানিয়ে খাওয়ায়। তাছাড়া ছোট বড় সবার জন্য এটার রস অনেক উপকারী। তার কারণ এই পাতায় রয়েছে, আন্টি ইনফ্লেমেটরি ও আন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের শরীরকে মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি দেয়, যেমন: ক্যান্সার,ডায়াবেটি, হৃদরোগ, ইত্যাদি এদের বিরুদ্ধে সব সময় লড়াই চালিয়ে যায়।

এটি বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত বলে অনেক আগ থেকে মানুষ এ পাতা কে ওষুধের তালিকায় রেখেছে। তাই  তুলসী পাতা খাওয়া আমাদের অনেক জরুরী। কেননা এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন উপকারে আসে। এবং খালি পেটে তুলসী পাতা রস খাওয়ার ফলে আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। খালি পেটে তুলসী পাতা রস খেলে আমাদরের কি কি পারে এ সম্পর্কে নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা  

  • আপনার রক্তে যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে খালি পেটে তুলসি পাতা খাওয়ার ফলে রক্তের সমস্যা দূর হবে।
  • তুলসী পাতায় রয়েছে অতিরিক্ত পটাশিয়াম। এজন্য কমে যেতে পারে আপনার রক্তচাপ। এজন্য কারো নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তুলসী পাতা, তার জন্য না খাওয়া উত্তম। যদিও খেতে চায়। তাকে সতর্কতা অবলম্বন করে খেতে হবে।
  • তুলসী পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যাজমা ফুসফুসের সমস্যা ব্রষ্কাইটিস ইত্যাদি এগুলোর মোকাবেলায় কাজ করে। 
  • খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের রুচি বেড়ে যায়।  
  • চোখের সমস্যা থাকলে কয়েকটি তুলসির পাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। আবার ওই পানি দিয়ে সকালবেলা চোখ ধুয়ে ফেলবেন। ইনশাআল্লাহ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। 
  • তুলসী পাতায় থাকা ক্যামফিন,সিনিওল এবং ইউজেনল বুকে ঠান্ডা এবং কনজেকশন কমাতে সাহায্য করে। 
  • জন্ডিস রোগীদের জন্য ৫ গ্রাম তুলসি পাতা, এবং ৫ গ্রাম পানি দিয়ে বেটে খেলে জন্ডিস রোগে যে হলুদ বর্ণ হয় তা কেটে যায়। এবং দ্রুত রোগ সেরে যায়।
  • অতিরিক্ত ঠান্ডা এবং গরমের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে চোখ ওঠে। এটি এমন রোগ একজনের হলে পরিবারের সবার হয়। তখন তুলসী পাতার রস কাজলের মত চোখে দিলে, কিংবা তুলসী পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে দিলে চোখ ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে, এবং চোখ দিয়ে পানি পড়াও বন্ধ হয়ে যাবে। 
  • অনেক সময় আমাদের দাঁত খুব যন্ত্রণা করে। যদি খুব বেশি যন্ত্রণা শুরু করে দেয় তাহলে গোল মরিচের সঙ্গে তুলসী পাতা বাটিয়ে। ওই জায়গায় চেপে বসিয়ে দিলে দাঁতের যন্ত্রণা দূর হয়ে যাবে। 
  • কিডনিতে পাথর হলে কিংবা কিডনির যে কোন সমস্যা হলে আপনি প্রতিনিয়ত খালি পেটে তুলসী পাতা খাবেন। 
  • যারা রাতের বেলায় চোখে দেখতে পারেনা আমরা তাদেরকে বলি রাতকানা। তাদের চোখের সমস্যা দূর করতে হলে তুলসী পাতার রস খালি পেটে খেতে হবে। এতে করে চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্ত সমস্যা সমাধান হবে। 
  • তুলসী পাতা গলার রোগ জীবাণু থেকে মুক্তি করতে পরে তবে প্রথমে গরমে পানির সাথে তুলসীর পাতা দিতে হবে তারপর সে পানি দিয়ে গলা গড় গড়াতে হবে তাহলে গলার সমস্ত রোগ জীবাণু থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। 
  • গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটি অনেক ভালো কারণ তুলসী পাতা খাবার ফলে গর্ভবতী মহিলার খুব তাড়াতাড়ি গর্ভবাত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় 

আমরা আলোচনা করলাম খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে। যদি আপনি খালি পেটে তুলসী পাতা খান কিংবা তুলসী পাতার রস খান তাহলে এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। তাই আমাদের উচিত আমরা প্রতিদিন খালি পেটে তুলসী পাতা খাবো তা পাতা হোক কিংবা রস হোক আমাদের খাওয়া অনেক জরুরী। এতে করে আমাদের শরীরের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি।

তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক

আমরা সবাই জানি তুলসী পাতা আমাদের অনেক উপকারে আসে। আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে হলে প্রতিনিয়ত তুলসী পাতা কিংবা রস খেতে হবে। এটি আমাদের যেমন উপকার করে। তেমনি ভাবে কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। চলুন তাহলে নিচে আলোচনা করি। তুলসী পাতা অধিক পরিমাণে খাওয়ার ফলে মূএ ও কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগী যদি বেশি পরিমাণে তুলসী পাতা খায় তাহলে তাদের গলুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • অতিরিক্ত মাত্রায় যদি কেউ তুলসী পাতা খায় তাহলে তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। 
  • ডায়াবেটিস হওয়া ব্যক্তিদের গ্লকোজের মাত্রা একদম কমিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া সৃষ্টি করতে পারে যদি সে তুলসী অতিরিক্ত তুলসী পাতা খায়। 
  • কাঁচা তুলসী পাতা খেলে দাঁতের মধ্যে কালচে দাগ পড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। 
  • যাদের হার্টের সমস্যা সব সময় হার্টের ওষুধ খেয়ে থাকেন তারা তুলসী পাতা থেকে বিরত থাকবেন।  
  • কোন গর্ভবতী মা এটাকে গর্ব অবস্থায় খেলে খুব তাড়াতাড়ি গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। 
  • অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে কাশির সঙ্গে রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে 

আমরা দীর্ঘ সময় ধরে তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তুলসী পাতায় সেরকম কোন ক্ষতিকর দিক আমরা পাইনা। এর পাতা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আর উপকারী হলেও এটি অধিক পরিমাণে খাওয়া যাবেনা। উপকার যেমন রয়েছে তেমনি ভাবে ক্ষতিও রয়েছে। তাই আমরা এটি অধিক পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকবো।

তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা 

যখন ঋতু পরিবর্তন হয় তখন আমাদের সর্দি কাশি জ্বর গলা ব্যথা এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। আর এই সমস্ত রোগে দারুন কাজ করে তুলসী পাতার চা। শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করার জন্য তুলসী পাতার চা খুবেই কার্যকরী। বিশেষজ্ঞদের মতে জানা যায় শীতকালের বিভিন্ন অসুখ রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হলে নিয়মিত তুলসী চা খেতে হবে। যদি আমরা তুলছি চা এর উপকার পেতে চাই 

তাহলে একটি পাত্রের মধ্যে গরম পানি নিয়ে সেখানে আদা কচি, তুলসী পাতা, দারুচেরি গুড়া দিয়ে মধু ও লেবু মিশিয়ে নিলে তুলসী চা তৈরি হয়ে যাবে। বুকের দুধ খাওয়ানোর মা যারা রয়েছে তারা যদি রক্ত পাতলা রাখার জন্য ওষুধ খায়। তাহলে তারা তুলসী চা খেতে পারবে না চিকিৎসকরা  বলেছেন তারা যেন এটা থেকে বিরত থাকে। তুলসী পাতা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও মানসিক চাপ ও বিভিন্ন প্রকার দুশ্চিন্তা কমায়। এছাড়াও মৌসুম পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা সর্দি থেকে নিজেকে সুস্থ রাখতে চাইলে তুলসী চা হতে পারে আপনার জন্য একটি অন্যতম মাধ্যম। 

তুলসী চা বানানোর পদ্ধতি  

তুলসী চা বানানোর পদ্ধতি হলো চা বানানোর পাত্রে তিন থেকে চার কাপ পানি নিয়ে তা ফুটাতে হবে। যদি টগবগ করে ফোটে তাহলে ১০ মিনিট পর্যন্ত আচ কমিয়ে ফুটতে হবে। তারপর সেখানে দিতে হবে তুলসী পাতা, আদা কুচি, দারুচেরি গুড়া, ইলাচ গুড়া, দিয়ে ১০ থেকে ১২ মিনিট ফুটাতে হবে। তারপর ছাকনি দিয়ে সেকে চায়ের কাপে ঢালিয়ে নেন। এরপর মধু কিংবা লেবুর রস দিয়ে নেরে খেয়ে নেন। 

মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা 

মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে চলুন আমরা বিস্তারিত জেনে নেই। মধু ও তুলসী পাতা একসঙ্গে খেলে আমাদের অনেক উপকার হয়। যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তুলসী পাতা। আর মধুতে রয়েছে টি ও ভিটামিন। এছাড়াও এলার্জি কমাতে সাহায্য করে দাওনা তুলসী ও মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। আমরা অনেকেই জানি না তুলসী ও মধু একসঙ্গে খেলে আমাদের কি কি উপকার হতে পারে তাহলে চলুন জেনে নেই। 

  • যে সমস্ত ব্যক্তির কিডনিতে পাথর রয়েছে তারা তুলসী এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ফলে খুব দ্রুত কিডনি থেকে পাথর দূর হয়ে যাবে। 
  • তুলসী পাতা ও মধুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আপনার শরীরের এলার্জি কমিয়ে আনতে পারে 
  • তুলসী এবং মধুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন যা মানব দেহের জন্য বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার জন্য সাহায্য করে। 
  • তুলসী এবং মধু একসঙ্গে খাওয়ার ফলে রক্ত বেড়ে যায়। এবং এটি হংপিন্ডকে ভালো রাখতে অনেক সহায়তা করে। 
  • আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া গুলো দূর করার জন্য এবং শরীর সুস্থ রাখার জন্য তুলসী ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। 
  • যদি কেউ বয়স ধরে রাখতে চান তাহলে তুলসী এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খান। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বয়স বৃদ্ধি ও কমিয়ে দেয়। এবং ত্বকের বলি রলিরেখা পড়া বোধ করে।
  • সম্মানিত পাঠক আমরা এত সময় ধরে মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। তাই যারা নিয়মিত মধু ও তুলসী পাতা খেতে পারবেন তারা অনেক উপকৃত হবেন। তাই নিয়মিত মধু ও তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করে নিন, এতে করে আপনি বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। 

ত্বকের যত্নে তুলছি পাতার ব্যবহার 

অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা রয়েছে তুলসী পাতায়। ব্রণ, ব্রণর দাগ, ব্রণর ব্যাথা ইত্যাদি এগুলো কমাতে অনেক কার্যকর। যদি আপনার ত্বকের মধ্যে ব্রণ উঠে তাহলে তুলসী পাতা এবং নিম পাতা একসঙ্গে বাটিয়ে এবং এর মধ্যে হলুদ মিশিয়ে দিয়ে তারপর এটি আপনার ব্রণ প্রবন লাগালে ব্রণর সমস্যা থাকলে সমস্যা দূর করবো। যদি আপনি সপ্তাহে তিনবার এটি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ব্রণ নিয়ে আপনাকে আর চিন্তা করতে হবে না। তুলসী পাতায় রয়েছে ১.৩ গ্রাম প্রোটিন এবং তাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। এছাড়াও এই পাতায় আরও বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে যেমন পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং আয়রন। এসব উপাদান ত্বকের যত্নে ভীষণ উপকারী। 

তুলসী পাতা চুলে দিলে ক্ষতি হয় নাকি লাভ হয়

আমরা অনেকেই জানিনা, তুলসী পাতা চুলে দেওয়া যাবে কি যাবে না। চুলে দিলে ক্ষতি হবে নাকি লাভ হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি না যে তুলসী পাতা চুলে দিলে কি হয়। তুলসির পাতায় রয়েছে অনেক প্রচুর এন্টি ব্যাকটেরিয়া যা আপনার চুলকে শক্তিশালী করতে অনেক উপকার করে।এই তুলসির পাতা দিয়ে বিভিন্ন কারখানায় তেল তৈরি করা হয়। যদি কেউ তুলসী পাতার তেল মাথায় ব্যবহার করে। তাহলে তার মাথায় কোন প্রকার খুশকি থাকবে না। এবং আপনার মাথার চুল পরিষ্কার হয়ে যাবে। 

লেখক এর মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানলেন খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। এবং আমরা আরো জানতে পেরেছি তুলসী পাতা আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যদি আমরা তা সঠিকভাবে খেতে পারি। তাহলে আসুন দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগিয়ে আমরা বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে মুক্ত থাকি। 







 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url